উদ্যোক্তাদের মেটলাইফের আড়াই লাখ ডলারের ঋণ
প্রকাশিত : ১৮:৩৬, ২০ জুলাই ২০১৮
বিশ্বের স্বল্পআয়ের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা কিভার পাশে দাঁড়িয়েছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। এশিয়াতে কর্মরত মেটলাইফের সহস্রাধিক কর্মী প্রায় দুই লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৫০ মার্কিন ডলার মূল্যমানের ক্ষুদ্র ঋণদানে অংশগ্রহণ করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ‘টেক অ্যাকশন’ প্রচারণার মাধ্যমে মেটলাইফের শতভাগ কর্মী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।
মেটলাইফ জানায়, প্রচারণাটি গত মে মাসে ’টেক অ্যাকশন’ নামে এশিয়ার সব মেটলাইফ অফিসে চালু করা হয়। এ অনলাইন ভিত্তিক প্রচারণায় একটি মাত্র ক্লিকের মাধ্যমেই একজন কর্মী বেছে নিয়েছেন ফাউন্ডেশনের দেয়া জনপ্রতি ২৫ ডলারের ক্ষুদ্রঋণ কাকে তিনি দিতে চান। ঋণগ্রহীতারা সেলাই মেশিন ক্রয় বা চাষের বীজ কিনে কৃষিকাজে স্বাবলম্বী হবার মত উদ্যোগে এ অর্থ ব্যয় করতে পারে। এই ঋণের অর্থ দিচ্ছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এবং উদ্যোক্তাদের নির্বাচন ও ঋণ বন্টনের কাজ করছে কিভা।
নিম্নবর্ণিত ৪টি খাতে মেটলাইফের ১১টি দেশের কর্মীরা ঋণগ্রহীতা নির্বাচনে সাহায্য করেছে।
খাতসমূহ |
শতাংশ |
বরাদ্দকৃত অর্থ (ডলার) |
নারী |
৩৫.৬% |
৯৩,৮২৫ |
কৃষি |
২৪.২% |
৬৩,৬০০ |
যুবা |
১৭.৬% |
৪৬,৩২৫ |
গ্রিন |
২২.৬% |
৫৯,৬০০ |
কিভা বর্তমানে উপরোক্ত চারটি বিভাগে এ ঋণ বিতরণের কাজে নিয়োজিত আছে। কিভার আওতাধীন ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের হার ৯৬%। তারা আশা করছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের এ ঋণ অসংখ্য উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়তা করবে।
মেটলাইফ ইনকর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার এবং এশিয়া অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট স্টিভ গোলার্ট বলেন, “মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ও কিভার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আমাদের কর্মীদের অংশগ্রহণ আবারও প্রমাণ করে যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ের ভিত্তিতে রয়েছে মানবিক সাহায্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। আমাদের এই আয়োজন দশ হাজারেরও বেশি ঋণগ্রহীতাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তারা নিজের ও পরিবারের সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।”
গোলার্টের সাথে সহমত পোষণ করে মেটলাইফ বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ হাম্মাদুল করীম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩৫৯ জন কর্মীর মধ্যে ৩২৩ জন কর্মী এ প্রচারণায় অংশ নিয়েছে, যেটি সত্যই অনন্য। যাদের ৩৪ শতাংশই কৃষি খাতে ঋণ দেয়াকে প্রাধান্য দিয়েছে। কর্মীদের পছন্দের তালিকায় কৃষির পরে ক্রমান্বয়ে স্থান পেয়েছে নারী, সবুজ ও যুবা। তিনি আরো বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের কর্মীরা শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে নানান সামাজিক কাজে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের বাইরেও আঞ্চলিক নানা উদ্যোগের ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।”
মেটলাইফের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বের নানাপ্রান্তের বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাত্ম হয়ে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রআয়ের মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ২০১৩ সালে, মেটলাইফ ফাউন্ডেশন পাঁচ বছরের জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলো। এশিয়াতে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক অর্থ অনুদান করেছে যা ২০১৩ সাল থেকে এ অঞ্চলের ৩.৮ মিলিয়ন ক্ষুদ্রআয়ের মানুষদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রেখেছে।
যাত্রা শুরুর পর থেকে, কিভা বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ঋণে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানে সহায়তা করেছে যা বিশ্বব্যাপী ১.৬ মিলিয়ন ঋণদাতা ও ২.৬ মিলিয়ন উদ্যোক্তাকে একইসূত্রে যুক্ত করেছে। এদের মধ্যে আবার ৮১ শতাংশই নারী। কিভা থেকে ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ করার পর, সেই অর্থ আবার অন্য উদ্যেক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয় যাতে তারাও অর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন